মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
” মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় ” আজ আমি আপনাদের ভালোভাবে শেখাবো আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে কিন্তু তার আগে আপনাদের মার্কেটিং কাকে বলে এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে যেখানে আমি আপনাদের মার্কেটিং কি কত ধরনের মার্কেটিং হতে পারে তার সব কিছু নিয়ে একটা সাধারণ ধারণা দিয়েছি
আপনি যেকোনো প্রোডাক্ট এরই মার্কেটিং করতে পারবেন কিন্তু মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে প্রথমে ঠান্ডা মাথায় কিছু জিনিস ভেবে নিতে হবে
মার্কেটিং করার আগে দেখা প্রয়োজন –
- আপনার মার্কেটিং কি কারণে করবেন – আপনার মার্কেটিং করার আগে এটা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন মার্কেটিং করার আপনার প্রয়োজন কেন।
ধরে নিন আপনি চুল পড়া বন্ধ করার তেল বিক্রি করতে চাইছেন। এখন এখানে আপনার উদ্দেশ্য ওই তেলটি বিক্রি করা
- কি মার্কেটিং করবেন – আপনার মার্কেটিং করার আগে এটা জানা প্রয়োজন যে কোন জিনিসটা মার্কেটিং করতে চাইছেন।এখন যদি আপনি ওই তেলটি বিক্রি করতে চান তো আপনাকে আগে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে জানতে হবে ভালো করে, তাতে করে আপনি ওই প্রোডাক্টের ছোট ছোট ব্যাপারগুলি জানতে পারবেন
যাতে করে কাস্টমার আপনাকে জিজ্ঞেস করলে আপনি ওই বিষয়ে সব কিছু জানেন এটা বুঝে যায় এবং আপনাকে ও আপনার প্রোডাক্টকে বিশ্বাস করে।
- কোন কৌশলে করবেন – মার্কেটিং শুধু করলেই হয় না তার আগে একটি প্ল্যান তৈরি করার অবশ্যই প্রয়োজন আছে যে আপনার প্রোডাক্টটিকে আপনি কিভাবে বাজারে নিয়ে আসবেন ।
এই বিষয়ে যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয় তা নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে !
- আপনার মার্কেটিং এর টার্গেট কোনটা হবে – এর সাথে সাথে জানা প্রয়োজন আপনার টার্গেট কোন প্রকার মার্কেট হবে । সেটা অবশ্যই হতে হবে আপনার প্রোডাক্ট উপযোগী
যদি একটি চুড়িদার আপনি একটি লোকের কাছে বিক্রি করেন তার কাছে যত বেশি গ্রহণযোগ্য হবে তার থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে একজন মহিলার কাছে যে চুড়িদার পরতে ভালবাসে । সুতরাং এই মার্কেট কারদের কাছে করবেন জানতে হবে।
মার্কেটিংয়ের মুল স্তম্ভ –
১. টার্গেট করা অডিয়েন্স
আমি আপনাকে এই ব্যাপারটি আগেই বুঝিয়েছি। আপনাকে দিশাহীন ভাবে না কাজ করে বা খেটে আপনাকে তাদের জন্য খাটতে হবে যারা আপনার প্রোডাক্ট এর ব্যাপারগুলোয় ইন্টারেস্টেড কারন তারাই আপনার কাস্টমার।
আপনি চকলেট বিক্রি করলে তারাই কিনবে যারা চকলেট খেতে ভালবাসে। এর ফলে আপনাকে যারা পছন্দ করে না তাদের পিছনে সময় ব্যয় কমে যাবে।
এবং সেই সময়টাই যদি আপনার টার্গেট করা লোকের পিছনে দেন সেরা কাজ করবে।
কিভাবে পাবেন – আপনাকে এর জন্য আপনি যে জায়গায় কাজ করছেন সেই জায়গার তথ্য জোগাড় করতে হবে বিভিন্ন ভাবে যাতে করে আপনি আপনার সেরা অডিয়েন্স খুঁজে পান।
২. প্রোডাক্ট ডিটেলস
আপনি যে জিনিসটা নিয়ে জানেন না সেটা বিক্রি করলে আপনার লাভ যতটা না হবে তার থেকে বেশি লাভ হবে যদি আপনার বিক্রি করা জিনিসটি নিয়ে জেনে নেন
এতে করে আপনি কাস্টমারকে বোঝাতে পারবেন তার দুর্বল জায়গাগুলোয় ধরে নিয়ে ।
এবং দুর্বল জায়গাগুলো ধরে ফেলে আপনি যদি বোঝাতে পারেন আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমারের সমস্যার সমাধান করবে,আপনার জিনিসটি বিক্রি হতে বাধ্য।
৩. ইমপ্লিমেন্ট
আপনার মনে যদি কোনো ভালো ধারনা বা আইডিয়া থাকে তো সেটা বাস্তবে কাজ করানোর কাজটিও আপনাকে করতে হবে যাতে নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন।
৪. Invest
আপনাকে আপনার কাজের জন্য অবশ্যই invest করতে হবে। কারন কোনো কাজই বিনা invest হয় না সেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ invest থেকেই থাকে।
৫. Observation
আপনার মার্কেটিং করার সময় সেই পুরো ব্যাপারটির অব্জারভেশন খুবই জরুরী তাতে করে আপনি আপনার কৌশল পাল্টানো বা সেটা কতটা লাভদায়ক জানতে পারবেন
৬. Quick action
আপনার মার্কেটিংয়ের কৌশলে বা অন্য কোথাও ভুল থাকলে সেটা বুঝে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তার সমাধান করতে হবে । যেকোনো কাজ খুবই দ্রুততার সাথে করতে হবে।
৭. Funnel
এটি একটি নতুন কনসেপ্ট যেখানে কম সময়ে বুদ্ধি দিয়ে কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়।
৮. Craze
আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টটির জন্য মার্কেটে ক্রেজ তৈরি করতে পারেন তো আপনার মার্কেটিং এর ব্যাপারটি অনেক সহজে ও ভালোভাবে হয়ে যাবে।
মার্কেটিং করার উপায়-
আপনার নিশ্চয় জানা আছে বা না জানলে জেনে নেওয়া দরকার যে মার্কেট দুই ধরনের অফলাইন মার্কেট ও নেট বা অনলাইন মার্কেট । বর্তমানে মার্কেটিং অনলাইনের দিকেই আসতে আসতে বেশি ঝুঁকছে তবে অফলাইন মার্কেটেরও ক্ষমতা অনেক বেশি।
অফলাইন মার্কেট বলতে আমাদের বাজারে দোকান শপিংমল, বাড়ি ভিত্তিক মার্কেট আর অনলাইন মার্কেট বলতে ডিজিটাল দোকান বা ব্যাবসাকে বুঝিয়েছি আমি।
ধরুন কেউ একটি কোম্পানির আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু বিক্রি করতে চাইছে। সে যেমন কোম্পানির থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে বিক্রি করে বাড়ি বাড়িতে তার কাছে ঠিক ঠাক মার্কেটিং করলে বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হয় কম খেটে আবার তেমনই একজন দোকান দারেরও খদ্দের পেতে মার্কেটিং করতে হয়।
পড়ুন – সিপিএ মার্কেটিং কি সহজে জানুন
অফলাইন মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
কোম্পানির representative-দের জন্য মার্কেটিংয়ের উপায় –
আপনি যদি কোনো একটি প্রোডাক্ট নিয়ে সবার কাছে বিক্রি করতে যান তাহলে আপনাকে অনেক খাটতে হবে এবং আপনার আশা অনুযায়ী ফল নাও পেতে পারেন । সবচেয়ে ভালো হয় যদি –
আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারে এমন লোকদের খুঁজে বের করুন। দরকার হলে তাদের লিস্ট বানিয়ে ফেলুন তথ্য জোগাড় করে
ওই লিস্ট অনুযায়ী লোকেদের প্রথমেই আপনি ভালো করে তার সমস্যার কোথা জানুন এবং আপনার কাস্টমারকে বুঝুন ।এবং সমাধান করার উপায় হিসাবে আপনার প্রোডাক্টটি অফার করুন।
যতটা সম্ভব বিশ্বাস অর্জন করতে চেষ্টা করুন যাতে সে আপনার কোথা শুনতে ও আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে আগ্রহী হয়
সবশেষে,
আজ আমরা জেনে নিলাম অফলাইন ও অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এই নিয়ে বিশদে।