কোণ কাকে বলে,প্রকারভেদ
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আপনি জানবেন কোন কাকে বলে , পরিমাপের একক কি, কোনের প্রকার নিয়ে বিশদে। আজকের আর্টিকেলটি পুরো পড়লে কোন নিয়ে সমস্ত ধরণের ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কোণ কাকে বলে (what is angle)
আসলে angle বা কোন হল দুটি তল বা সন্নিহিত বাহু একে অপরকে ছেদ করলে ছেদবিন্দুতে বাহুদুটির মধ্যবর্তী অংশকে কোন বলা হয়
এখানে AO একটি বাহু ও BO একটি বাহু এবং দুটো বাহু ‘ O ‘ বিন্দুতে ছেদ করেছে সুতরাং দুটো বাহুর মাঝের গোলাপি অংশটি হল একটি কোন।
একটি সাধারন উদাহরন দিলে কোনের ব্যাপারটি আরও পরিস্কার হয়ে যাবে ।
উদাহরন –
আমাদের বই বা ডাইরি বা খাতার মলাট দুটোকে দুটো তল ধরলে ,মলাট দুটো একসঙ্গে যে অংশে লেগে থাকে সেখানে কোন তৈরি হয়,আপনি যেমন ভাবে রাখবেন সেরকম কোন তৈরি হবে ।
কোন কি একনো বুঝতে না পারলে পড়তে থাকুন আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন ।
কোন পরিমাপের একক কি ?
কোন পরিমাপের একক বা unit হল degree বা ডিগ্রি যেমন ৯০ ডিগ্রি ১৮০ ডিগ্রি ইত্যাদি।
কোনের প্রকার (types of angle)
কোণের মান সর্বোচ্চ 360 ডিগ্রী হতে পারে তার বাইরে কখনও একটি কোণের মান যাবে না আবার কোণের মান কখনোই – নেগেটিভ হবে না।
কোনের বিভিন্ন মানের উপর ভিত্তি করে কোনকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এরপর আমরা দেখব কত রকমের কোন রয়েছে অর্থাৎ কোণের প্রকারভেদ
1. সরল কোণ (straight angle)
আমরা জানি একটি রেখা অসংখ্য বিন্দু দিয়ে তৈরি, ওই রেখার উপর একটি বিন্দু কল্পনা করলে ওই লেখাটির দু’পাশে দুটি কোণ তৈরি হয় যার মান 180 ডিগ্রি ।
উদাহরণ –
একটি বাহুর মাঝে একটি বিন্দু ধরা হলো, এখন ওই বিন্দুতে কোণের মান হবে ১৮০ ডিগ্রী, কেন হবে ? কারণ একটি কোণের সর্বোচ্চ মান 380 ডিগ্রী এবং সেটি সমান দু’ভাগে ভাগ করেছে সরলরেখার উপরে একটি এবং নিচে একটি। সুতরাং 360/2 = 180
পড়ুন – সরল কোন কাকে বলে
2. সমকোণ (right angle)
এ আর নতুন করে বলার মত কিছু নাই
দুটি বাহু যদি একে অপরের সঙ্গে লম্বভাবে থাকে, অর্থাৎ একটিকে যদি অপরটির উপর লম্বালম্বিভাবে রাখা হয় তবে দুই পাশে দুটি 90 ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন হবে আর কোণের মান 90 ডিগ্রি হলেই তাকে সমকোণ বলা হয়
উদাহরণ –
উপরে দুটি বাহুর মাঝে ৯০ ডিগ্রি কোন তৈরী হয়েছে
3. সূক্ষ্মকোণ (acute angle)
এটি বিশেষ কিছুই নয় যে কোণের মান ৯০ ডিগ্রীর চেয়ে ছোট কিন্তু 0° চেয়ে বড় তাকে সূক্ষ্মকোণ বলা হয়
উদাহরণ –
একটি কোণের মান ওয়ান থেকে এটি নাইন অব্দি সূক্ষ্মকোণ বলা হবে
4. স্থূলকোণ (obtuse angle)
একইভাবে যে কোণের মান 90° চেয়ে বড় তাকে স্থূলকোণ বলা হয়
উদাহরণ –
91 থেকে 180 ডিগ্রির আগে অব্দি মোটামুটি সব কোনগুলোকে স্থূলকোণ ধরা হয়
5. প্রবৃদ্ধ কোণ (reflex angle)
যে কোণের মান 180° থেকে বেশি হয় তাদেরকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলা হয়।
6. সম্পূরক কোণ (supplementary angle)
দুটি কোণের মান যোগ করে যদি ১৮০ ডিগ্রী হয় তবে কোন দুটিকে একে অপরের সম্পূরক কোণ বলা হয়
উদাহরণ –
উপরের দুটি কোণের যোগফল ১৮০ ডিগ্রী কিন্তু লাল রেখা তাদেরকে আলাদা করেছে তাই পাশাপাশি এই দুটি কোণ একে অপরের সম্পূরক কোণ।
7. পূরক কোণ (complementary angle)
দুটি কোণের যোগফল এর মান যদি 0° হয় তবে তাদের একে অপরের পূরক কোণ বলা হবে
উদাহরণ –
উপরের ৪০ ও ৫০ ডিগ্রি দুটি মিলে ৯০ ডিগ্রি হয়।
এখন পাশাপাশি এই কোন দুটিকে একে অপরের পূরক কোণ বলা হবে।
8. সন্নিহিত কোণ (adjacent angle)
সন্নিহিত মানে কিছুই না শুনে তো মনে হলো পাশাপাশি সুতরাং পাশাপাশি দুটি কোণ থাকলে একে অপরের সন্নিহিত কোণ বলা হবে
9. বিপ্রতীপ কোণ (vertically opposite angle)
দুটি বাহু একে অপরকে ছেদ করলে ছেদবিন্দুতে দুপাশে দুটি কোণ উৎপন্ন হয় তাদের একে অপরের বিপ্রতীপ কোণ বলা হয়
আপনি জানলেন কোন কাকে বলে, পরিমাপের একক কি, কোনের প্রকার ও কি কি এই নিয়ে বিস্তারিত।
পড়ুন – গোলক কাকে বলে
Hello !! আমি প্রিয়ব্রত, আমি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের জানিয়ে থাকি আর্টিকেলের মাধ্যমে। এইখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা আর্টিকেল পাবেন যেগুলো আমি সহজ করে বোঝাতে চেষ্টা করে থাকি